পয়েন্ট আঁকারে খুব সংক্ষেপে ও সহজে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি বিষয়টি।
১. হারামভাবে যে কোন শারীরিক সম্পর্ককে ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যভিচার বলা হয়।
২. ধর্ষণের ক্ষেত্রে যেহেতু হারামভাবে সম্পর্ক স্থাপন করা হয়, তাই ইসলামের দৃষ্টিতে এটিও এক প্রকার ব্যাভিচার।
৩. তাই ধর্ষণের ক্ষেত্রে প্রাথমিক শাস্তি হচ্ছে ব্যভিচারের শাস্তি। তবে এই শাস্তি শুধুমাত্র ধর্ষকের উপর কার্যকর হবে। ধর্ষিতার উপর নয়। যেহেতু তার সম্মতি ছিল না।
৪. সেই সাথে ধর্ষককে যমীনে ফাসাদ সৃষ্টির মামলাতেও বিচার করা যাবে যদি পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে এর প্রয়োজন হয়। এমনকি কোন কোন কোন ইমামের মতে, ধর্ষককে আর্থিক ক্ষতিপূরণের শাস্তিও দেওয়া হবে।
৫. ধর্ষকের প্রথম শাস্তি হচ্ছে ব্যভিচারের শাস্তি। ব্যভিচারের শাস্তি প্রমাণের জন্য ব্যভিচারির স্বীকারোক্তি অথবা চারজন সাক্ষী আবশ্যক, যারা সঙ্গমরত অবস্থায় উভয়কে দেখেছে।
৬. যদি এই দুই প্রমাণের অভাবে ব্যভিচার সাব্যস্ত করা না যায় কিন্তু অন্য কোন প্রমাণ থাকে যার মাধ্যমে ধর্ষণ সাব্যস্ত হয়, তাহলে যমীনের ফাসাদ সৃষ্টির মামলায় ধর্ষকের বিচার হবে।
৭. যমিনে ফাসাদ সৃষ্টির শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড, শূলে চড়িয়ে হতা, ডান হাম-বাম পা কর্তন বা বাম হাত-ডান পা কর্তন, দেশান্তর করা। বিচারক পরিবেশ-পরিস্থির দিকে লক্ষ্য রেখে যেটাকে বেশী উপযোগী মনে করবেন, সেটার দ্বারা শাস্তি দিবেন।
Facebook Comments